লিভারের সমস্যায় এখন অনেকেই ভুগছেন। বিশেষত লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেড়েছে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা। লিভারের সমস্যায় ভুগতে পারেন যে কেউ। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, ডায়াবেটিস রয়েছে, স্লিপ অ্যাপনিয়া, থাইরয়েডের মত সমস্যা রয়েছে তারাই কিন্তু এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন।

যদিও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়তে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। কারণ অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তারা এই সমস্যায় আক্রান্ত। এছাড়াও ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা তা কিন্তু বোঝা যায় নিঃশ্বাস থেকেও। যাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের নিঃশ্বাসে একরকম গন্ধ থাকে।

আর এই উপসর্গ চিকিৎসা পরিভাষায় “ব্রেথ অফ দ্যা ডেথ”- নামে পরিচিত। এই গন্ধবিচার করেই আলাদা করা যায় কারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। আর এই কটূ গন্ধ কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী। ফলে এমন সমস্যা হলে অবহেলা নয়। দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। নইলে পরবর্তীতে বাড়তে পারে জটিলতা।

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় লিভার সহজে রক্তকে ফিল্টার করতে পারে না। ফলে সেখান থেকে কিন্তু এসে যায় একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতা। শরীরে সঠিক ভাবে ডিটক্সিফিকেশন হয় না। তাই যে সব ওষুধ খাওয়া হয় শরীর তা ঠিকমতো হজম করতে পরে না। তখন সেই দূষিত পদার্থ শ্বাসযন্ত্রসহ শরীরের বাকি অঙ্গে প্রবেশ করে। যে কারণে শ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ থাকে এবং সহজেই একে আলাদা করা যায়। এই “ব্রেথ অফ দ্যা ডেথ” বা ফেটর হেপাটিকাসের জন্য দায়ী কিন্তু ডাইমিথাইল সালফাইড।

এছাড়াও মনে যদি সব সময় বিভ্রান্তি লেগে থাকে, সহজেই রক্তপাত হয়, চামড়া হলুদ হয়ে যায়, পা ফুলে যায়, পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে তাও কিন্তু হতে পারে লিভারের সমস্যার লক্ষণ। তাই যদি নিঃশ্বাস দুর্গন্ধ যুক্ত মনে হয় তা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যান। হতে পারে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। কিন্তু অন্য কোনও সমস্যাও হতে পারে।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা তা জানতে বিশেষ কিছু রক্তপরীক্ষাও থাকে। সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই কিন্তু চিকিৎসক চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করেন। সেইমত ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে রোগীকে প্রথমেই নানা ধরণের বাজে অভ্যাস ছাড়ার কথা বলা হয়। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও কিন্তু সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

কলমকথা/ বিথী